২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আয়ের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার চায় দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করবহির্ভূত ডিভিডেন্ডের আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করাসহ ৯টি প্রস্তাব দিয়েছে।
সিএসইর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী ডিভিডেন্ড আয়ে বিদ্যমান উৎস কর প্রত্যাহার করা যেতে পারে। কারণ ডিভিডেন্ড প্রদানকারী কোম্পানি তার মুনাফার ওপর কর প্রদান করে থাকে। তাই ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় পুনরায় কর প্রদান দ্বৈত করের সৃষ্টি করে।
প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, ডিভিডেন্ড আয়ে উৎস কর পরিহার করা হলে আরও বেশি ডিভিডেন্ড আকারে বিতরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া এক স্তর বা কর কাঠামোর ফলে কর আদায় প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে।
বাজেট প্রস্তাবে ব্যাক্তিশ্রেনীর করদাতাদের করমুক্ত আয় সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করারও প্রস্তাব করেছে সিএসই। ফলে জীবণযাত্রা ব্যয়ের উর্ব্ধগতির ধারা অব্যাহত থাকায় করমুক্ত আয়ের এই সীমা বৃদ্ধি করা হলে একদিকে করদাতাদের জীবন যাত্রার সুষ্ঠমান বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে অন্যদিকে টিআইএন নিতে উৎসাহিত হবে।
বাজেটে সিএসইর অন্য প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রদেয় কর হারের ব্যবধান কোনোরূপ শর্তছাড়া ১০ শতাংশ করা, একক লেনদেন ও নির্ধারিত নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগ সীমা পুননির্ধারণ, বন্ড হতে উদ্ভুত আয়কে কর অব্যাহতি প্রদান, স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ওপর বিদ্যমান আয়কর পুন:নির্ধারণ, পরামর্শ বা কন্সালটেন্সি সেবা, কারিগরী বা টেকনিক্যাল সেবা ও সফ্টওয়্যার মেইনটেনেন্স এর উপর উৎসে কর কর্তন এবং মূল্য সংযোজন কর প্রদান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বা সম্পদ ব্যাবস্থাপক কর্তৃকইস্যুকৃত ইউনিট সার্টিফিকেট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ সীমা ৫ লক্ষ টাকা উঠিয়ে দেওয়া এবং এসএমই ও অল্টারনেটিং ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) এ তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমুহের কর সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।