পুঁজিবাজারে আরও ৬ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওযা হয়েছে। বাজারে লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধির ফলে যে আস্থার আভাস দেখা যাচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নতুন করে ৬ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর তুলে নেওয়ায় ফ্লোরপ্রাইসের আওতায় থাকা কোম্পানির সংখ্যা ১২টি থেকে কমে ৬টিতে নেমেছে।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আলোচিত কোম্পানিগুলোর উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
যে কোম্পানিগুলোর উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা, রেনাটা বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটা।
প্রথম তিনটি কোম্পানি তথা আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, রেনাটা ও ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের উপর কাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকেই ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না।
অন্যদিকে শেষ তিন কোম্পানি তথা বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন, এবং রবি আজিয়াটার শেয়ারের উপর তাদের নিজ নিজ রেকর্ড তারিখ পর্যন্ত ফ্লোরপ্রাইস থাকবে। রেকর্ড তারিখের পরদিন ফ্লোর ওঠে যাবে।
বিধি অনুসারে, এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে সার্কিটব্রেকার তথা একদিনে মূল্য পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা কার্যকর হবে।
অন্যদিকে বেক্সিমকো, বিএসআরএম লিমিটেড, মেঘনা পেট্রলিয়াম, ইসলামী ব্যাংক, কেপিসিএল ও শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস বহাল আছে। পরবর্তী নির্দেশনা জারি না হওয়া পর্যন্ত এসব কোম্পানির উপর ফ্লোরপ্রাইস থাকবে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং শ্রীলংকার দেউলিয়া ঘোষণাজনিত আতঙ্কের প্রেক্ষিতে দেশের পুঁজিবাজারে বড় দর পতনের আশংকার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। তার আগে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর একবার ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করা হয়েছিল।
ফ্লোরপ্রাইসের কারণে বাজারে শেয়ার কেনাবেচা একেবারে কমে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরপ্রাইস বহাল থাকায় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোও সঙ্কটে পড়ে।
এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫ কোম্পানি ব্যতিত বাকী সব কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। এর তিন দিন পর ২২ জানুয়ারি আরও ২৩ কোম্পানির শেয়ারের উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। তাতে ফ্লোরপ্রাইসের আওতায় থাকা কোম্পানির সংখ্যা কমে হয় ১২টি। সেখান থেকে আজ আরও ৬টিকে ফ্লোর প্রাইসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।