দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে এই পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ৩৪টি কোম্পানি। এরমধ্যে মুনাফায় অবনতি হয়েছে ১৫টি কোম্পানির। যেগুলোর মধ্যে ৮টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে এবং ৭টির লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মুনাফায় অবনতি হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- আনোয়ার গ্যালভাইজিং, বিডি অটোকারস, বেঙ্গল উইন্ডসর, দেশবন্ধু পলিমার, ইফাদ অটোস, মীর আখতার হোসাইন, নাভানা সিএনজি, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, আফতাব অটোমোবাইলস, বিডি ল্যাম্পস,বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ডমিনেজ স্টীল,আজিজ পাইপও রেনউইক যজেনশ্বর।
এরমধ্যে আফতাব অটোমোবইলস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বিডি ল্যাম্পস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, আজিজ পাইপ, ডমিনেজ স্টিল ওরেনউইক যজেনশ্বরের লোকসান বেড়েছে।
আনোয়ার গ্যালভাইজিং
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) শেয়ার ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা।
তবে অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।
বিডি অটোকারস
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৫ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪৪ পয়সা।
বেঙ্গল উইন্ডসোর
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৫ পয়সা।
অর্থববছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ২৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩১ পয়সা।
দেশবন্ধু পলিমার
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১০ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ পয়সা।
ইফাদ অটোস
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৩ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৫ পয়সা।
মীর আখতার হোসাইন
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৬ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০৪ পয়সা।
নাভানা সিএনজি
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৪ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছে ০৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৮ পয়সা।
এস আলম কোল্ড
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা।
লোকসান বেড়েছে যে কোম্পানিগুলোর-
আফতাব অটোমোবাইলস
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০১ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৯৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০২ পয়সা।
আজিজ পাইপ
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল৯৮ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে ২ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়লোকসানছিল২ টাকা ১৪ পয়সা।
অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৩ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২১ পয়সা।
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানির লোকসান হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০২ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান ছিল হয়েছে ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৪ পয়সা।
বিডি ল্যাম্পস
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৪ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১১ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ২৮ পয়সা।
ডমিনেজ স্টীল
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৬ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা।
রেনউইক যজেনশ্বর
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে ৬ টাকা৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে১৪ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময়লোকসানছিল১০ টাকা৫৭ পয়সা।
এদিকে, প্রকৌশল খাতের৭টি কোম্পানি এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাপোলো ইস্পাত, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, কেএন্ডকিউ, আরএসআরএম স্টিল, সুহ্নদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শপইয়াড ও ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড।
এছাড়া, ডিসেম্বর ক্লোজিং সিঙ্গার বাংলাদেশসর্বশেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর এসএস স্টিল মিলের মুনাফা অপরিবর্তিত রয়েছে।