1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
  3. [email protected] : muzahid : muzahid
  4. [email protected] : woishi : woishi
প্রকৌশল খাতে মুনাফা বেড়েছে ১৯ কোম্পানির
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন

প্রকৌশল খাতে মুনাফা বেড়েছে ১৯ কোম্পানির

  • পোস্ট হয়েছে : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
up.. top

দেশের শেয়ারবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে এই পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ৩৪টি কোম্পানি। এরমধ্যে মুনাফায় অগ্রগতি হয়েছে ১৯টি কোম্পানি। যেগুলোর মধ্যে ১৬টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে এবং ৩টির লোকসান কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

মুনাফায় অগ্রগতি থাকা কোম্পানিগুলো হলো- বিবিএস ক্যাবলস, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন ক্যাবলস, জিপিএইচ ইস্পাত, কেডিএস এক্সেসরিজ, মুন্নু এগ্রো, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ন্যাশনাল পলিমার, ন্যাশনাল টিউবস, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রড, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, রংপুর ফাউন্ড্রী, রানার অটোমোবাইলস, ওয়ালটন হাইটেক, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, এটলাস বাংলাদেশ ও গোল্ডেন সন লিমিটেড।

এরমধ্যে অলিম্পিক এক্সেসরিজ, এটলাস বাংলাদেশ ও গোল্ডেন সনের লোকসান আগের বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমেছে।

বিবিএস ক্যাবলস

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৯ পয়সা।

তবে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির বড় লোকসান হওয়াতে অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটি এখনো লোকসানে রয়েছে। দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসানে রয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা।

বিএসআরএমএস লিমিটেড

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮২ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩ টাকা ৬৯ পয়সা।

বিএসআরএম স্টিল

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২৪ পয়সা।

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৫ পয়সা।

প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা।

ইস্টার্ন ক্যাবলস

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ০৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২১ পয়সা।

অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৮ পয়সা।

জিপিএইচ ইস্পাত

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়েলোকসানছিল১২ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩)কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়েলোকসানছিল ১ টাকা৭৬ পয়সা।

কেডিএস এক্সেসরিজ

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৪ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩)কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা।

মুন্নু এগ্রো মেশিনারিজ

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২৩-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলল ৫২ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা।

নাহি অ্যালুমিনিয়াম

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা।

ন্যাশনাল পলিমার

অর্থববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০৫ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ০১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৮ পয়সা।

ন্যাশনাল টিউবস

অর্থববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩১ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বার ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৩ পয়সা।

ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রড

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৪ পয়সা।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৫৩ পয়সা।

কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৬ পয়সা।

অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২০ পয়সা।

রংপুর ফাউন্ড্রী

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ০১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৯ পয়সা।

অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা।

রানার অটোমোবাইলস

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ০৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ০৮ পয়সা।

তবে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির বড় লোকসান হওয়াতে অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটি এখনো লোকসানে রয়েছে। দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। আগের একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা।

ওয়ালটন হাইটেক

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা।

অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা।

যেসব কোম্পানির লোকসান কমেছে-

অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৩ পয়সা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান কমেছে।

তবে দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে। অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২১ পয়সা।

এটলাস বাংলাদেশ

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে ৪ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা৮২ পয়সা।

অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে ১ টাকা১৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়লোকসানছিল১ টাকা ৪৭ পয়সা।

গোল্ডেন সন

অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল১৬ পয়সা।

অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটিরশেয়ার প্রতি লোকসানহয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়লোকসানছিল৩৯ পয়সা।

এদিকে, প্রকৌশল খাতের ৬টি কোম্পানি এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাপোলো ইস্পাত, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, আরএসআরএম স্টিল, সুহ্নদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়াড ও ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড।

এছাড়া, ডিসেম্বর ক্লোজিং সিঙ্গার বাংলাদেশসর্বশেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর এসএস স্টিল মিলের মুনাফা অপরিবর্তিত রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ