গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে বড় পতন দেখা যায়। এদিন বেশিরভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর কমে, এর মধ্যে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল ব্যাংক খাত। গতকাল রবিবার ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দর কমে ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে। বৃদ্ধি পায় মাত্র ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। দর বাড়া বেশিরভাগ কোম্পানিই ছিল ব্যাংক খাতের।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। ফলে সকাল থেকেই বাড়তে থাকে এ খাতে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেনে শেষে তালিকাভুক্ত ৩০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। বাজারের মোট লেনদেনেও বেশ এগিয়ে ছিল এ খাত। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান ছিল প্রায় ১৪ শতাংশ। তবে গতকাল নতুন কোম্পানি রবির প্রায় চার কোটি শেয়ার লেনদেন হয়। যার ফলে মোট লেনদেনে সবার শীর্ষে চলে যায় টেলিকমিউনিকেশন খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান ছিল ২৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর সূচক ৫৮ পয়েন্ট কমলেও লেনদেনে ছিল আগের চেয়ে বেশি। গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৩৮৪ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ২৫ কোটি টাকার শেয়ার। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৩২ লাখ ৬৬ হাজার টাকার রবি আজিয়াটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের।
এছাড়া বেক্সিমকো ফার্মার ৭৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৫৯ লাখ টাকার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩০ লাখ টাকার, সিটি ব্যাংকের ১২ লাখ ৯২ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, বিডি কমের ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৫ লাখ টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৫ লাখ ১১ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫ লাখ ৬৪ হাজার ও সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।