1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
ডিএসইর ৬ ব্রোকারেজ হাউজে ঘাটতি ১৮ কোটি টাকা
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন

ডিএসইর ৬ ব্রোকারেজ হাউজে ঘাটতি ১৮ কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ১০৮টি ট্রেকহোল্ডার বা ব্রোকারেজ হাউসের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ অ্যাকাউন্ট) ৫৮৫ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০২টি প্রতিষ্ঠান তাদের ঘাটতি সমন্বয় করেছে।

তবে এখনও ৬টি ব্রোকারেজ হাউস গ্রাহকদের ঘাটতি বাবদ ৪৯ কোটি টাকার বেশি সমন্বয় করেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেড, পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, লতিফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং মর্ডান সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২০২২ সালে ২২ মার্চ জারিকৃত নির্দেশনা অনুসারে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) সকল ব্রোকারেজ হাউস তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা পালনে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কার্যক্রম তদন্ত শেষে ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে বড় অংকের ঘাটতি পাওয়া যায়। যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮৫ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

পরবর্তীতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে চিঠি দিয়ে দ্রুত ঘাটতি সমন্বয় করতে বলা হয়। এরপর থেকে ১০২টি প্রতিষ্ঠান ৫৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা সমন্বয় করেছে। বাকি ৬টি ব্রোকারেজ হাউস ৪৯ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘাটতি এখনো সমন্বয় করেনি।

এর মধ্যে সিনহা সিকিউরিটিজের ঘাটতি রয়েছে ৯ কোটি ৮২ লাখ২৪ হাজার টাকা, ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডের ঘাটতি রয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ৩৩ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ঘাটতি রয়েছে পিএফআই সিকিউরিটিজের, এশিয়া সিকিউরিটিজের ৬২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ঘাটতি রয়েছে।

এছাড়া লতিফ সিকিউরিটিজের ৩২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং মর্ডান সিকিউরিটিজের ৫ কোটি ২৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘাটতি রয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে বিএসইসি গত বছর ২২ মার্চ গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে লিমিটি সুবিধা স্থগিত করা হবে, যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে আইপিও কোটা সুবিধা বাতিল হবে, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার বিপরীতে পাওয়া ডিভিডেন্ড স্থগিত থাকবে এবং ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন এবং নতুন শাখা ও বুথ খোলা বন্ধ রাখা হবে।

এর আগে গত বছর ২১ মার্চ বিনিয়োগকারীদের আমানত অর্থাৎ শেয়ার ও অর্থ সরিয়ে নেওয়া তামহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং বানকো সিকিউরিটিজসহ ২৫টি ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন সনদ নবায়ন বন্ধসহ নানা সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ