1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
‘জেড’ ও দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধিতে সতর্ক
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

‘জেড’ ও দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধিতে সতর্ক

  • পোস্ট হয়েছে : শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১
share market

দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় পরে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে এসেছে, যার জের ধরে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদরের পাশাপাশি বাড়ছে সূচক। তবে এবার সতর্ক রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দেখেশুনে বিনিয়োগ করছেন তারা। পাশাপাশি আলোচনার বাইরে রেখেছেন ‘জেড’ক্যাটেগরির শেয়ার। এটাকে ভালো লক্ষণ বলছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে কিছু দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক হতে বলেছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন,‘জেড’ও দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে পুঁজিবাজারে কারসাজির ঘটনা বেশি ঘটে। তাই বিনিয়োগকারীরা যখন এটি থেকে দূরে থাকেন তখন তারা নিজেদের নিরাপদে রাখেন। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকা দরকার। যদিও বাজারের প্রতি বিএসইসি নজরদারি রাখছে, তারপরও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।

বাজারচিত্রেও পিছিয়ে ছিল ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় ছিল না এসব শেয়ার, যে কারণে তালিকাভুক্ত ৩৭টি ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানির মধ্যে সামান্য দর বাড়তে দেখা যায় সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে।

পুঁজিবাজারে বছরের বেশিরভাগ সময়ই অধিকাংশ ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির দৌরাত্ম্য দেখা যায়। কারণ ছাড়াই বাড়তে থাকে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তর থাকে তাদের কাছে দর বাড়ার বিষয়ে কোনো সংবেদনশীল তথ্য নেই। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালে এসব কোম্পানির প্রতি নজরদারি বাড়ায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের কিছু কোম্পানির তালিকা করে তারা নজরদারিতে রাখে, কিন্তু তার পরও কাজ হয়নি। থেমে ছিল না এসব কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে একটি ব্রোকারেজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাজারে যারা কারসাজি করে, তাদের নজর থাকে স্বল্পমূলধনি এবং ‘জেড’ ও কম শেয়ার রয়েছে এমন কোম্পানির দিকে। কারণ এসব কোম্পানি অপেক্ষাকৃত কম পুঁজি নিয়ে গেম করতে পারে। এর বেশিরভাগের সঙ্গে কোম্পানির লোক জড়িত। ফায়দা নিয়ে তারা এসব শেয়ার ছেড়ে চলে যান। আর তাদের ফাঁদে পা দেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সবশেষে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে বিনিয়োগকারীরা এখন কিছুটা হলেও সচেতন হয়েছেন, এটা ভালো খবর। কারণ এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগে লাভের চেয়ে ঝুঁকি বেশি থাকে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ